যেভাবে লিখবে ধারণাপত্র
কংগ্রেসে অংশ নিতে চাইলে রেজিস্ট্রেশনের সময় তোমাকে জমা দিতে হবে ধারণাপত্র বা কনসেপ্ট পেপার। কনসেপ্ট পেপার হবে তুমি যে প্রকল্প বা বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছ বা করতে চাচ্ছ তার সারসংক্ষেপ। ধারণাপত্র লেখার সময় তুমি নিচের ফরম্যাট ব্যাবহার করতে পার। অন্য কোন ফরম্যাটে সারসংক্ষেপ লিখলেও হবে।
শিরোনাম: তোমার প্রকল্প বা গবেষণার এক বাক্যে সুন্দর একটি শিরোনাম দাও। শিরোনামটা হতে হবে এমন যে পুরো প্রকল্প সম্পর্কে যাতে শিরোনাম থেকেই একটা ধারণা পাওয়া যায়। তুমি চাইলে মূল কংগ্রেসে প্রকল্পটি ভিন্ন শিরোনামেও উপস্থাপন করতে পারবে।
বিষয়বস্তু: এই প্যারায় তুমি কী নিয়ে কাজ করছ বা করেছ তা সংক্ষেপে লিখ। এমনভাবে লিখবে যাতে তোমার গবেষণাটা কী নিয়ে, এটা করলে কী হবে তা লিখ। তবে খেয়াল রেখ, তিন-চার বাক্যের বেশি লেখার দরকার নেই।
কার্যপদ্ধতি: এই প্যারায় লিখবে গবেষণাটি তুমি কীভাবে করছ বা করেছ। যে কোন গবেষণা বা কাজ করার সময় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যাতে করা হয় সেদিকে খেয়াল রেখ। কার্যপদ্ধতি শেখার জন্য তুমি দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের “বিজ্ঞান কী ও কেন” বইটি দেখতে পার অথবা গুগলে Scientific Methodology সার্চ করতে পার।
ফলাফল/ অনুমিত ফলাফল: এই প্যারায় তুমি গবেষণায় কী পেয়েছ বা পাবে বলে আশা করছ তা লিখবে। তোমার গবেষণা থেকে যে ফলাফল আসবে তা কী কাজে লাগবে তাও দিতে হবে এই প্যারায়।
ধারণাপত্র লেখার সময় একটা বিষয় মনে রেখ, ধারণাপত্র যাতে খুব বড় না হয়। চেষ্টা করবে ৩০০ শব্দের মধ্যে লিখবে।
একটা জিনিস মনে রাখবে, কনসেপ্ট পেপার বা ধারণাপত্র হল এমন একটা জিনিস যাতে তুমি তোমার গবেষণার একটা ধারণা অন্যদের দিবে। এটি তুমি গবেষণা শেষ করার পরও লিখতে পার, আগেও লিখতে পার। ধর তুমি গবেষণা করার আগে ধারণাপত্র লিখে জমা দিলে, কিন্তু গবেষণা শেষ করার পর দেখলে তোমার ফলাফল বা গবেষণার অন্য যে কোন অংশ ধারণাপত্রের সাথে মিলছে না, তাহলে বিচলিত হওয়ার কোন কারণ নেই। এটা হতেই পারে, এবং এটাই গবেষণার সৌন্দর্য।